গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়েছে কেন, ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়

গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়েছে কেন, ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সোমবার রাতে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কারণ জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রাত ১২টার পর এক ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ঈদে শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে।’

এ নিয়ে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’ পোস্টে তিতাস গ্যাসের হটলাইন নম্বর ১৬৪৯৬ তুলে ধরা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের এই ফেসবুক পোস্ট নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনিও নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার খবরে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

তবে প্রতিমন্ত্রী রাত ১২টার পর যখন এই ফেসবুক পোস্ট দেন, তখনো বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

 

এর আগে রাত ১১টার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। মগবাজার, ইস্কাটন, রামপুরা, মহাখালী, পূর্ব রাজাবাজার, ক্রিসেন্ট রোড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাড্ডা ও হাজারীবাগের বাসিন্দারা এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কথা জানান। বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্যাসের চুলা না জ্বালানো এবং দেশলাই না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়।

গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রথম আসে রামপুরা থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রামপুরার মোল্লাবাড়ি, রামপুরা বাজার ও তালতলা এলাকার রাস্তায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাত ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি তিতাসকে জানিয়েছি। তিতাসের লোকজন এসে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

মহাখালীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি থানা–পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে জানিয়েছেন। তারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে। কিন্তু তাঁরা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারছেন না।

এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তাঁদের অনেকেও অভিযোগ করেন, তিতাসের জরুরি যোগাযোগের নম্বরে ফোন করে সংযোগ পাননি।