চলতি অর্থবছরে পূরণ হয়নি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা

চলতি অর্থবছরে পূরণ হয়নি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা

২০২২-২৩ অর্থবছরে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের ভার ছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের কাঁধে। বছর প্রায় শেষ হতে চললেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ দূরে অবস্থান সংস্থাটির।

এই বিস্তর ফারাকের মধ্যেই আইএমএফের শর্ত মতে, এনবিআরের মাধ্যমে আসন্ন বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

চলমান সংকটের মধ্যে সম্ভাব্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কতটা বাস্তবসম্মত? উত্তরে পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগামী বাজেটের ৫ লক্ষ কোটি টাকার যে লক্ষ্য দেয়া হয়েছে এনবিআরকে সেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে না।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমার যা করা উচিত ছিল সেগুলো করতে পারিনি বলেই আইএমএফ শর্ত দিয়েছে। এখন আমরা সেদিকেই নজর দিচ্ছি।

আসন্ন বাজেটে চাপ আছে, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়ানোরও। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে এই অনুপাত উন্নীত করতে হবে ৮ দশমিক তিন শতাংশে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে জিডিপিতে করের অবদান কমার শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে একটা সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আশা করি আসন্ন বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একটি ভালো ঘোষণা দিবেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও নেই কর আহরণে। ফলে সুযোগ থাকছে কর ফাঁকির; যাতে গতি বাড়াচ্ছে অসাধু কর্মকর্তাদের কারসাজি। এ পরিস্থিতিতে গল্পই হয়ে থাকবে করহার বাড়িয়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন প্রক্রিয়া।