ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের সন্তানের গলাকাটা লাশ

ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের সন্তানের গলাকাটা লাশ

সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ১২ বছরের ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে জামগড়া ইউনিক ফকিরবাড়ির মোড় এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন– ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মোক্তার হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় আশপাশের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তারা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে একটি কক্ষের বিছানায় মা ও ছেলের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের আরেক কক্ষে মোক্তার হোসেনের লাশ পায়।

ভবনটির ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা দিলদার হোসেন বলেন, ‘আমি গার্মেন্টে চাকরি করি। সন্ধ্যায় ফিরে দেখি বাসার সামনে প্রচণ্ড ভিড়। পরে শুনি চারতলায় একটি ফ্ল্যাটে তিনজনকে খুন করে রেখে গেছে কেউ। পরে পুলিশ আসে। যে ফ্ল্যাটের ঘটনা তাদের আমি চিনি না।’ 

মোক্তার হোসেনের দুলাভাই রহিম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না। মোক্তার সম্পর্কে আমার শ্যালক হয়। আনুমানিক পাঁচ-সাত বছর ধরে তারা ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’

আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর মা ও ছেলের লাশ দেখতে পাই। পরে পাশের ঘর থেকে আরেকজনের লাশ পেয়েছি। ঘরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। ধারণা করা হচ্ছে, তিন দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। 

আশুলিয়া থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।