পুলিশের হেফাজতে দুই বিএনপি নেতার মৃত্যুর জন্য দায়ী যারা

পুলিশের হেফাজতে দুই বিএনপি নেতার মৃত্যুর জন্য দায়ী যারা

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে আরও দুই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা এসব নেতাদের ওপর পুলিশের নির্যাতনে নিহত হয়েছে বলেই বিশ্বাস করে পরিবার। কারাগারেও তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। আর নির্যাতনের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ওয়ারী থানাধীন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বুলবুলকে গত ২৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারাগারে ওই বিএনপি নেতার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবারকে না জানিয়ে স্থানীয় যুবলীগ ও তাঁতী লীগ কর্মীর তত্ত্বাবধানে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রাত ৯টায় চুপিসারে দাফন কাজ সম্পন্ন করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মৃত বুলবুলের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে পরিবারের দাবি।

পরিবারের দাবি ওয়ারী থানার ওসি মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার ইমতিয়াজ আহম্মেদ বুলবুলকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে।

ওয়ারী থানার ওসি মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার এর গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে।

বিএনপি অপর এক অভিযোগে বলেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কওরাইদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান হিরোকে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার সময় তাকে শ্রীপুর রেলস্টেশন থেকে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এরপর তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত ওই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু থানায় নির্যাতনের কারণে অসুস্থ থাকায় কারাগারে ওই বিএনপি নেতা শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কারা হেফাজতে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ শ্রীপুর থানার ওসি এ.এফ.এম নাসিম এর নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, পুলিশের হেফাজতে বা তত্ত্বাবধানে থাকা কালীন কারও মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা ও জড়িতরা ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হবেন এবং ফৌজদারি অপরাধ কখনো তামাদি হয় না।