প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে হবে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এখনও নিরবচ্ছিন্ন হয়নি। নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সহিংস পন্থায় যদি নির্বাচনের বিরুদ্ধাচরণ করা হয় বা ভোটারদের বাধা দেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে। তবে সেই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, নির্ধারিত সময়ে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। এখানে প্রতিরোধ আসতে পারে, তারপরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সহিংসতা না হলেও পরবর্তীতে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের অভিমত ইতিবাচক ছিল না। তাই এবার ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ৪২ থেকে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে একই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত।
তাই অনেককে এখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বোচ্চ দায়িত্ব এ কমিশনকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কখনো একক সিদ্ধান্তে একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্র যেটাকে বলা হয়, যেটা আমরা ভারতে লক্ষ্য করেছি, বিলেতে লক্ষ্য করছি, আমেরিকাতে লক্ষ্য করছি কিন্তু আমাদের দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র গড়ে উঠেনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।