একতরফা নির্বাচন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা না রাখায় অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা না রাখায় অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

বিতর্কিত এবং একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করতে ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি কূটনীতিক, আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক এবং দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, পেশাজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তবে কথা দিয়ে কথা রাখেননি তিনি। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির লনে বক্তব্য দেবার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিফিং হবেনা কুশল বিনিময় হবে। আর তাই তার বক্তব্য শেষ হতেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে আমন্ত্রণে উল্লেখ করা হয়েছিল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের ব্রিফ করবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমন্ত্রিত কূটনীতিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, কূটনীতিক, আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক এবং দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, পেশাজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করবেন। 

কিন্তু বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আজকে কোনো ব্রিফিং হবে না। আজকের অনুষ্ঠানটি মূলত কুশল বিনিময়। আমাদের সহকর্মীরা আপনাদের সঙ্গে একটি নোট বিনিময় করবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অনেকেই এসেছেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ। আমরা ভবিষ্যতে আরও চমৎকার অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। ২০২৪ সালে আরও চমৎকার বাংলাদেশ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা পাব। আপনাদের অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া আমাদের এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। গত ৫২ বছরে আমাদের অনেক সাফল্য এসেছে। বন্ধুদেশগুলোর অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এসব অর্জন করেছি। আমরা ভবিষ্যতে এবং এ বছর আরও সহযোগিতা চাই। আসুন আমরা একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমন্ত্রিত অতিথিরা কুশল বিনিময় এবং পিঠাসহ তাদের জন্য আয়োজন করা নানা ধরনের খাবার উপভোগ করতে এগিয়ে যান। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতার পরপরই ফরেন সার্ভিস একাডেমি ছেড়ে চলে যান।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একতরফা নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টারকে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে।