বিরোধী জোটের গণমিছিল ঘিরে রাজধানীতে উত্তেজনা

বিরোধী জোটের গণমিছিল ঘিরে রাজধানীতে উত্তেজনা

রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সরকারবিরোধী জোট। বিএনপি-জামায়াত, সমমনা কয়েকটি দল ও জোট আজ রাজধানীতে একসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে গণমিছিল করবে। জুমার নামাজের পর এক ডজনের বেশি স্পটে বড় শোডাউন করবে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। একই সময় রাজধানীর ৯টি স্পটে সতর্ক পাহারায় থাকার পাল্টা ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও। বিরোধী দুই শিবিরের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজধানীতে। যদিও বিএনপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ২৪শে ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কিন্তু একই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলন থাকায় বিএনপিকে কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ করা হয়। বিএনপিও আওয়ামী লীগের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করে।

পরে ৩০শে ডিসেম্বর গণমিছিলের ঘোষণা দেয় দলটি। তাদের সঙ্গে মিল রেখে জামায়াত-এলডিপি এবং তিনটি পৃথক জোটও রাজধানীর ছয়টি স্থানে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। আজ জুমার নামাজের পর রাজধানী নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। বেলা ৩টায় তাদের গণমিছিল নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজারে গিয়ে শেষ হবে। গণমিছিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল করবে। বেলা ৩টায় ১২ দলীয় জোটের নেতারা বিজয়নগর পানির ট্যাংক সামনে থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করবেন। একইসময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত গণমিছিল করবে। বেলা ৩টায় এলডিপির গণমিছিল কাওরানবাজার এফডিসি সংলগ্ন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়া জুমার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল বের করবে জামায়াত ।

এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রাজধানীর ৯টি স্পটে সতর্ক পাহারায় থাকবে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাতটি স্পটে এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দুই স্পটে থাকবে। জুমার নামাজের পর রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুবলীগ। আওয়ামী লীগ যে ৯টি স্পটে পাহারায় থাকবে সেগুলো হলো- উত্তরা, মহাখালী, ফার্মগেট, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এবং রামপুরা-বাড্ডা ইউলুপ, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় সমাবেশ করবে। সব কটি সমাবেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে শ্যামলীসহ কয়েকটি স্থানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।