খুলনায় রোডমার্চে বিএনপি নেতারা

আগামী মাসে আওয়ামী লীগ সরকার বলে কিছু থাকবে না

আগামী মাসে আওয়ামী লীগ সরকার বলে কিছু থাকবে না

খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, আগামী মাসে আওয়ামী লীগ সরকার বলে কিছু থাকবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেন। তাহলে নিরাপদে সরে যাওয়ার পথ পাবেন, না হলে পালাবারও পথ পাবেন না।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে রোডমার্চের সমাবেশে দলের সিনিয়র নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত এ রোডমার্চ সকালে শুরু হয় ঝিনাইদহ থেকে। মাগুরা ও যশোর হয়ে ১৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোডমার্চ রাত পৌনে ৯টায় পৌঁছায় খুলনায়। খুলনার সমাবেশে যোগ দেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শিববাড়ি মোড় ও আশপাশের এলাকা।

মাথায় ক্যাপ-ব্যান্ড ও বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট পরে, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ধানের শীষ, প্লাকার্ড হাতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা যোগ দেন রোডমার্চে। বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ও আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শোডাউন দিতে দেখা যায়। কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায় রোডমার্চের গাড়িবহর।

রোডমার্চে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমেরিকা থেকে আসার কথা ছিল ৫ তারিখ, এতো তাড়াতাড়ি চলে আসছেন কেন? সেখানে ১৮ শিল্পপতিকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন, তারা অবৈধভাবে আয় করা ১০০ বিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হয়ে এখন ফিরে আসছেন।

বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, সরকারের পতন হলো বলে। তারা আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। কোর্ট-কাচারিতে এখন বিচার নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনা রাখলে তামা হয়ে যায়। এখনও সময় আছে, দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগে দেশের মানুষ বলতো, এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে- শেখ হাসিনা ভোট চোর। সরকারের তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে, তার থেকে ৪০০ গুন বেশি অর্থ আছে শেখ পরিবারের কাছে। রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি ধনী হয়ে গেছে। 

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি ৩৬ দিন গুনছেন, আর ভাবছেন খালেদা জিয়া এর মধ্যে মারা যাবেন। খালেদা জিয়া মারা গেলে আপনারা কি বাঁচতে পারবেন?’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার বলে কিছু থাকবে না।খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেন। তাহলে নিরাপদে সরে যাওয়ার পথ পাবেন, না হলে পালাবারও পথ পাবেন না।

খুলনার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও নিতাই রায় চৌধুরী। বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ। পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী।