কিছু লোক খুদ-কুঁড়ার লোভে তামাশার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে: রিজভী

কিছু লোক খুদ-কুঁড়ার লোভে তামাশার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যখন দেশের মানুষ মাফিয়া চক্রের শৃঙ্খলে বন্দী, তখন আত্মা বিক্রি করছে কিছু লোক। তারা সামান্য খুদ-কুঁড়ার লোভে  বিবেক–বিবেচনাহীনভাবে তামাশার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

বুধবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সরাসরি কোনো দল বা ব্যক্তি নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘এসব রদ্দি মার্কা বেইমান দলছুটরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। কিন্তু এসব রং বদলানো পরজীবী রাজনীতিবিদেরা জনগণের সংকেত বার্তা টের পাচ্ছেন না।’ এদেরকে তিনি নব্য রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করেন।

রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার তথাকথিত কিংস পার্টি, ভুঁইফোড় পার্টি, ড্রিংস পার্টি, ছিন্নমূল পার্টি তৈরি করে তামাশার নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকার তার এজেন্সিগুলোকে মাঠে নামিয়েছে তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের জন্য। বিভিন্ন দল থেকে নেতা কিনতে গরুর হাটের মতো দরদাম চলছে। আওয়ামী সরকারের কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বহু নেতাকে চাপ-প্রলোভন-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আরও বলেন, টোপ দিয়ে কাউকে কাউকে ভাগানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে না গিয়ে বিরোধী দলের লেবাসে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে তথাকথিত এসব কিংস পার্টি, ভুঁইফোড়, ছিন্নমূল পার্টি হালুয়া-রুটির ভাগপ্রাপ্তির আশায় গণভবন-বঙ্গভবনে ছোটাছুটি করছেন।

রিজভী বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি হেলমেট বাহিনী নামিয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে তাদের বাড়িতে হেলমেট বাহিনী হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে। গুপ্ত হামলা, বোমা হামলা চালাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থীদের ধরে নির্যাতন করে পুলিশে দিচ্ছে। আবার আটক বাণিজ্য করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির ১৩ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারের নামে শেখানো বুলি শিখিয়ে নির্দয় ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গত ৪০ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ২৬টি  মামলায় বিএনপির ৪১৫ নেতা–কর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
গায়েবি মামলার পর এখন গায়েবি সাজাও দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আগে মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে ভোট দিত, আর এখন মৃত ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দল করলে মরেও শান্তি নেই।