মানবাধিকার লংঘনে দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেন কংগ্রেসম্যান মিকস: মুখপাত্র

মানবাধিকার লংঘনে দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেন কংগ্রেসম্যান মিকস: মুখপাত্র Photo: NBC

বিশেষ সংবাদদাতা

চরম মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী- র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন এবং এর ৬ কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতি পূর্ণসমর্থন ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিকস। একই সঙ্গে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার যে অকৃত্রিম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য এবং পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত কংগ্রেশনাল কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকসের সম্প্রতি বাংলাদেশ ইস্যুতে দেয়া একটি বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক প্রেরিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে বাংলাদেশের মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হলে এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার জাস্ট নিউজের কাছে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচিত সেই বক্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস সদস্য মিকসের অভিমত তুলে ধরেছেন ওই মুখপাত্র।

মিকসের মুখপাত্র বলেন, “(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কংগ্রেশনাল কমিটির) চেয়ারম্যান অবশ্যই বাইডেন প্রশাসনের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর বেশ কিছু সদস্যকে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্টের অধীনে (নিষেধাজ্ঞার জন্য) মনোনীত করাকে সমর্থন করেন। একিসঙ্গে তিনি এটিও স্পষ্ট করেছেন যে বর্তমানে পুরো দেশের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের চলমান সম্পর্কের একজন দৃঢ় সমর্থক।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে চান তিনি।”

উল্লেখ্য, সোমবার নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিকসের জন্য একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। আর সেখানে বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে আয়োজকদের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বর্তমান অবস্থান আর সাম্প্রতিক সময়ে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলেন মিকস। তবে তার বক্তব্যকে যথাযথভাবে প্রচার না করে এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভেঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি প্রেস রিলিজ পাঠায় ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস।

ঐ অনুষ্ঠানে গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস বলেন, “বাংলাদেশে শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব নিবেন। তিনি সরেজমিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং মতামত জানাবেন। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর ন্যস্ত।

মিকস তার বক্তব্যে ২০১৮ সালের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচন স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন ছিলো, যা হয়নি।”

আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের ফোকাসে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন. “আগামী নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। যাতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে সক্ষম হয়।”

এনএল/