বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় দক্ষিণ আফ্রিকার

বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় দক্ষিণ আফ্রিকার

ইনিংসের শুরুর দিকেই দক্ষিণ আফ্রিকার দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ওপর ওই চাপ অব্যাহত রাখনে পারেনি টাইগাররা। ফলে যা হবার তাই হলো- কুইন্টিন ডি ককের শতক (১৭৪) ও ক্লাসেনের ঝড়ো ৯০ রানের সুবাধে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে প্রোটিয়ারা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৮২ রান।

মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে আগে ব্যাট করে পাহাড়সম এই রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। তাই বাংলাদেশকে জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। এদিন অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে তুলে নেয় জোড়া উইকেট। প্রথম আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ভাঙেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটি। স্ট্যাম্প ভেঙে রেজা হেন্ড্রিকসকে দেখিয়েছেন সাজঘরের পথ।

৬.১ ওভারে ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। রেজা আউট হন ১৯ বলে ১২ রান করে। অবশ্য ফিরতেন আরো আগেই। দ্বিতীয় ওভারেই হয়তো বাংলাদেশ পেয়ে যেত বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের স্বাদ। যদি না তানজিদ তামিম তার ক্যাচ ছাড়তেন। ১.৫ ওভারে মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ ছাড়েন তামিম।

তবে উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মিরাজকে। অষ্টম ওভারেই উইকেটের দেখা পান তিনি। বাংলাদেশও পায় স্বস্তি। ফেরান ভেন ডার ডুসেনকে। ৭ বলে ১ রানে করে সাজঘরের পথ ধরেন এই প্রোটিয়া।

সেখানে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলার আভাস দিয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি টাইগার বোলাররা। কুইন্টন ডি কক ও মার্করামের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শতাধিক রানের জুটি গড়ে উঠে দু'জনের মাঝে। ১৩১ রান যোগ হয় ১৩৯ রান।

মার্করামকে ফিরিয়ে এই যুগলবন্দী ভাঙলেন সাকিব। ৩১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মার্করামকে ফেরান লিটনের ক্যাচ বানিয়ে। আউট হবার আগে ৬৯ বলে ৬০ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ১৬৭ রানে এসে পতন হয় তৃতীয় উইকেটের।

মার্করাম ফিরলেও শতক তুলে নেন ডি কক। ভারত বিশ্বকাপে যা তার তৃতীয় শতক। এর আগে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান এক আসরে তিন সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। ১০১ বলে শতক ছোঁয়ার পর ডি কক ব্যাট করতে শুরু করেন আরো হাতখুলে। মাত্র ১২৯ বলে পাড়ি দেন দেড় শ’ রানের গণ্ডি।

৪৫.১ ওভারে এসে ডি কক যখন ফেরেন, নামের পাশে ক্যারিয়ার সেরা ১৪০ বলে ১৭৪ রান। দ্বিশতকের পথে হাঁটতে গিয়ে হাসান মাহমুদের শিকার হন। দলের সংগ্রহ তখন তিন শ’ পেরিয়েছে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হেনরিখ ক্লাসেন আজও জ্বলে ওঠেন, ছুটতে থাকেন শতকের দিকে। শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল তার ব্যাটে।

প্রথম বলে হাসানকে ছক্কা হাকিয়ে সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলেন ক্লাসেন। তবে পরের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪৯ বলে ৯০ রান করে। ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৮৩ রান। যা বিশ্বকাপে এর আগে পারেনি কোনো দল। হাসান মাহমুদ ৬৭ রানে নেন ২ উইকেট।