অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার দুই ওপেনার। এর ধারাবাহিকতায় লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের, আসরে প্রথমবার পেরোলো তিন শ' রানের গণ্ডি। জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ৩০৭।

জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ। তবে যেন একটু বেশীই দেরি হয়ে গেল। সব হারানোর পরেই যেন হুঁশে ফিরলো। যদিও বড় ইনিংসের আক্ষেপ রয়ে গেছে। তবুও সম্মিলিত চেষ্টায় বড় পুঁজি পেয়েছে। আসরে প্রথমবার পাড়ি দিয়েছে তিন শ' রানের গণ্ডি। ৮ উইকেটে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় ইনিংসের আক্ষেপে পুড়লেও সম্মিলিত চেষ্টায় সমৃদ্ধ সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে হৃদয়ের ব্যাটে। সংগ্রহ আরো বড় হতে পারতো, যদি শান্ত-লিটনদের ইনিংস বড় হতো!

শুরুটা করেছিলেন দুই ওপেনার মিলে। বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে উঠে তানজিদ-লিটনের ব্যাটে। দুজনে ব্যাট করছেন কামিন্স-হ্যাজলউডদের চোখে চোখ রেখে। ফলশ্রুতিতে আসরে প্রথমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রান আসে উদ্বোধনী জুটি থেকে। সেই সাথে পাওয়ার প্লেতে হারায়নি কোনো উইকেট।

তবে দু'জনের কেউ ইনিংস টানতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও খেই হারিয়েছেন হঠাৎ। বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ফিরেছেন দু'জনে। তানজিদ তামিমের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১১.২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফেরেন তিনি। কামিন্সের শর্ট বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তার হাতেই।

৩৪ বলে ৩৬ রানে আউট হন তামিম। সমান ৩৬ রানে ফেরেন লিটন দাসও। ততক্ষণে অবশ্য দলের সংগ্রহ ছুঁয়েছে তিন অংকের ঘর। ১৬.৪ ওভারে ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন জাম্পার শিকার হয়ে।

তিনে নামা নাজমুল শান্ত ধরে রাখেন ভালো শুরুর ধারাবাহিকতা। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ যুগলবন্দী। ৬৮ বলের জুটিতে আসে ৬৪ রান। জুটি ভাঙে শান্তের বিদায়ে। ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ তারও হয়েছে সাথী। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

অধিনায়কের বিদায় টলাতে পারেনি মনোবল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও হৃদয় মিলে শাসন করতে শুরু করেন অজি বোলারদের। তাদের সময়েই দলের সংগ্রহ ছুঁয়েছে দ্বিশতক। তবে ফের রান আউট দাঁড়ায় বাধা হয়ে। কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাটে।

মুশফিকুর রহিমও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হৃদয়কে রেখে তিনি ফেরেন ২৪ বলে ২১ রানে। তবে জ্বলে উঠেন মেহেদী মিরাজ। তাওহীদ হৃদয়ের সাথে জোট গড়ে মন দেন রান বাড়ানোতে। হৃদয় ৭৯ বলে ৭৪ করে আউট হলে মিরাজকে তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। মিরাজ আউট শেষ ওভারে ২০ বলে ২৯ রানে।