শনিবার বাড়ি ফিরবে চীনফেরত ৩১২ জন

শনিবার বাড়ি ফিরবে চীনফেরত ৩১২ জন

চীনের উহান নগরী থেকে দেশে ফেরা ৩১২ বাংলাদেশি শনিবার বাড়ি ফিরবেন। তাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিত না থাকায় তাদের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক। দেশে ফেরার পর ওই বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩০১ জনকে আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে এবং বাকি ১১ জনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে দুই সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিলো।

আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জানান, চীন থেকে ফেরা এই বাংলাদেশিরা ‘কোয়ারেন্টিনের শেষ পর্যায়ে’ আছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যবেক্ষণের ১৪ দিন পূর্ণ হবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ তারিখ আমরা তাদের ছেড়ে দেবো। এখানে আর কোনো সমস্যা নেই। তাদের সবাই ভালো আছেন।

গতবছরের শেষ দিন চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকেই ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংক্রমণের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে উহানসহ হুবেই প্রদেশের একটি বড় অংশে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন সরকার। ফলে উহানের ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও গবেষণায় থাকা কয়েকশ’ বাংলাদেশিও কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে পড়েন।

চীন থেকে বিভিন্ন দেশে ভাইরাস ছড়াতে থাকায় এ ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়।

এরপর ১লা ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ বিমানে করে দেশে ফেরেন ৩১২ জন বাংলাদেশির প্রথম দলটি। আটজনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদের ঢাকার দুটি হাসপাতালে রেখে বাকিদের আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়।

তাদের মধ্যে ৩০১ জন এখন আশকোনা হজক্যাম্পে আছেন, বাকি ১১ জন আছেন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি বলে জানিয়ে আসছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।