২০-২৫ মার্চ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ

২০-২৫ মার্চ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ

আগামী ২০-২৫ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কাউন্টারে বিক্রি হবে টিকিট।

সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

মন্ত্রী জানান, ২০০৭ থেকে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি করছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম (সিএনএস)। তাদের সঙ্গে আমাদের ১৫ বছরের চুক্তি ছিল। যা শেষ হচ্ছে আগামী ২০ মার্চ। এরপর আমরা নতুনভাবে টেন্ডার করি। সেই টেন্ডারে কাজ পায় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সহজ লিমিটেড।

নূরুল ইসলাম সুজন আরও জানান, যেহেতু আগামী ২০ মার্চ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেহেতু এখন থেকে ট্রেনের টেকিট বিক্রি করবে সহজ। তাদের অভ্যন্তরীণ সেটআপের জন্য ৫ দিন সময় নিয়েছে। ২৬ তারিখ থেকে তারা ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে।

এরআগে রোববার (১৩ মার্চ) রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই অনুষ্ঠানে সোমবার (১৪ মার্চ) সহজ লিমিটেডকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘সহজ’ এর সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে রেলওয়ে।

দীর্ঘ ১৫ বছর রেলে একচেটিয়া ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে আসছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। সম্প্রতি সিএনএস এর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রেলওয়ে। টিকিট বিক্রি এবং চুক্তি নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। পরে রেলওয়ে ও সহজের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

সহজ এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম (বিআরআইটিএস) ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, সাপ্লাই, ইনস্টল, কমিশন, অপারেট, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি টিকিটের জন্য সহজ লিমিটেডকে ২৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। যেখানে সিএনএসকে দিতে হতো প্রায় তিন টাকা। আগামী ১৮ মাস তারা আগের সার্ভারে (রেলওয়ের নিজস্ব সার্ভার) কাজ চালিয়ে যাবে। এরপর প্রয়োজন হলে টিকেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন আনবে এবং নিজস্ব সার্ভারে কাজ করবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

২০০৭ সালে সিএনএসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল রেলের। তারপর চুক্তি মেয়াদ শেষ হলেও মামলা করে মেয়াদ বাড়িয়ে এক চেটিয়া ব্যবসা করে আসছিলো সিএনএস। পরে নতুন করে টেন্ডর হলে সিএনএস সহ অনেক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। পরে প্রতি টিকিটের জন্য সিএনএস ১ টাকা ৪০ পয়সা সার্ভিস চার্জ চেয়েছিল। আর সহজ ২৫ পয়সা চেয়ে টেন্ডারে অংশ নেয়। সর্বনিম্ন হিসেবে ২০১৯ সালে কাজ পায় সহজ। এরপর সিএনএস হাইকোর্টে মামলা করে। পরে মামলা নিষ্পত্তি হয়।