বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড। ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের এ সফরে ন্যুল্যান্ডের সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল থাকছে। আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, সফরে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদারদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবে। আন্ডার সেক্রেটারি ন্যুল্যান্ড বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় অংশীদারত্ব সংলাপে অংশ নেবেন। আর নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ডসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তিন দেশেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে এসব আলোচনা হবে।
প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতিবিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি আমান্ডা ডরি থাকছেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের এই সফরেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম অংশীদারত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এ বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করতে যাচ্ছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বহুমাত্রিক এই সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র আরও নিবিড় করতে চায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি আলোচনায় উঠতে পারে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি তুলবে বলে ধারণা করা যায়। বাংলাদেশ সব সময় এ ধরনের পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সনদ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। এই সংকটের নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা কী, সেটাও বাংলাদেশ বোঝার চেষ্টা করবে।
