দুই মেয়েসহ স্ত্রী হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল বাবু

দুই মেয়েসহ স্ত্রী হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল বাবু

যশোরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন মাদকাসক্ত জহিরুল ইসলাম বাবু।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে তিনি জানান, প্রথমে স্ত্রী ও বড় মেয়ের গলাটিপে ধরেন। ধস্তাধস্তি দেখে ছোট মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। পরে গামছা দিয়ে ছোট মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু।

শনিবার (১৬ জুলাই) আদালতে এ জবানবন্দী দেন হত্যাকারী জহিরুল ইসলাম বাবু। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু এ জবানবন্দী গ্রহণ করেন।

জহিরুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মশিউর রহমান বিশ্বাসের ছেলে।

বাবু আরও জানিয়েছেন, তিনি পেশায় রড মিস্ত্রি। তিনি মাদকাসক্ত। অভয়নগরের সিদ্দিপাশা গ্রামের শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বীথিকে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। বীথি তার বাবার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করতেন। আড়াই মাস আগে বীথি তার দুই মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। অনিচ্ছা সত্ত্বেও জহিরুলকে মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে থাকতে হতো। এ নিয়ে সংসারে চরম অশান্তি চলছিল।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে জহিরুল শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ওই সময় বীথির সঙ্গে জহিরুলের পারিবারিক বিষয়ে কলহ হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী ও বড় মেয়ের গলা চেপে ধরলে ছোট মেয়ে চিৎকার শুরু করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন জহিরুল ইসলাম।

জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে সকালে নিহত বীথির বাবা শেখ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আটক দেখিয়ে আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে আদালতে সোপর্দ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উত্তম কুমার মণ্ডল।