বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে কি? যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রশ্ন  

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে কি? যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রশ্ন   

 

বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারে পক্ষ নিয়ে এক নজিরবিহীন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী দল নিপীড়ন, মানবাধিকার লংঘন এবং আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন দেশ গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আহবান জানাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে এই বিবৃতি দিয়ে প্রকারন্তরে হস্তক্ষেপের জানান দিলো রাশিয়া।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করার অধিকার অন্য কোনো রাষ্ট্রের নেই।

বিবৃতিতে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষ করে, স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে) হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ অনেকে বিশ্বাস করে যে তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থে উক্ত নীতি লঙ্ঘন করতে পারে।

যারা নিজেদের বিশ্বের শাসক বলে মনে করে, তারা ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ রক্ষার অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

হঠাৎ করে রাশিয়ান দূতাবাসের স্বপ্রণোদিত এমন বিবৃতিটি দেশের পত্রপত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকার কূটনৈতিক মহলতো বটেই, সচেতন মহলও নড়েচড়ে বসেন।

বুধবার রাশিয়ান দূতাবাসের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজেদের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, রাশিয়ান দূতাবাসের বিবৃতি নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের রিপোর্টের একটি লিংক শেয়ার করেছে যার শিরোনাম "বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া: দূতাবাস"। সাথে ক্যাপশনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস রাশিয়ান দূতাবাসের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছে, "এটা (এই নীতি) কি ইউক্রেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?"