নিম্নমানের ডিজেল আমদানি করতে পারবে বিপিসি

নিম্নমানের ডিজেল আমদানি করতে পারবে বিপিসি

উচ্চ সালফারযুক্ত নিম্নমানের ডিজেল আনতে পারবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এ জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নির্ধারিত সালফারের মানমাত্রা (বেঞ্চমার্ক) শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে মোট চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ সালফারযুক্ত ডিজেল আমদানি করতে পারবে বিপিসি। সংস্থাটি আশা করছে, এতে বছরে ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু পরিবেশবিদরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে। বেড়ে যাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটে অর্থ বাঁচাতে বিপিসিই বেশি সালফারযুক্ত ডিজেল আনতে চায়। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি সালফারযুক্ত নিম্ন গ্রেডের ডিজেলের দাম কম। বিপিসির এ আবদার রক্ষায় ডিজেলে বিএসটিআই নির্ধারিত সালফারের মানমাত্রা শিথিলের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।

বৈঠকে বিপিসিকে ৩৫০ পিপিএমযুক্ত সালফার আনার মৌখিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও বৈঠকে অংশ নেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, বিশেষজ্ঞসহ অধিকাংশ প্রতিনিধি ডিজেলে সালফারের মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সভার প্রভাবশালী অংশের প্রভাবে মানমাত্রা শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় বলা হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন গ্রেডের ডিজেল আনার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, একসময় ৫০০ পিপিএম পর্যন্ত সালফারযুক্ত ডিজেল আমদানির অনুমোদন দিত বিএসটিআই। পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে সংস্থাটি ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর আমদানি ডিজেলের ক্ষেত্রে সালফারের পরিমাণ নির্ধারণ করে ৫০ পিপিএম।

বিপিসির তথ্যমতে, দেশে বছরে ডিজেলের চাহিদা প্রায় ৫০ লাখ টন। এর প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। আমদানি ডিজেলের ৭০ শতাংশ ব্যবহার পরিবহনে। বাকিটা সেচ পাম্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জেনারেটরে। বিপিসি বর্তমানে কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে পরিশোধিত ডিজেল আমদানি করে।