নিউ সুপার মার্কেটে আগুন

এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে, উৎসুক জনতার চাপে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে, উৎসুক জনতার চাপে উদ্ধার কাজ ব্যাহত

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উৎসুক জনতার চাপে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুনের শিখা দেখা না গেলেও এখনো কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন গেট দিয়ে ব্যবসায়ীদের মালামাল উদ্ধার করে নামাচ্ছেন দোকান মালিক, কর্মচারী, পুলিশ, সেনা, বিমান, র‌্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্যরা। নিচেই বড় দুটি গাড়ি থেকে আগুন লাগা ভবনে পানি দিচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা। একটি গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে হ্যান্ড মাইক হাতে দাঁড়িয়ে স্কাউটের একজন স্বেচ্ছাসেবী। সেই হ্যান্ড মাইকে অনর্গল কথা বলছেন তিনি। ' উদ্ধার কর্মী, ফায়ার ফাইটার আর গণমাধ্যম কর্মী ছাড়া আপনারা আছেন। তারা অনুগ্রহ করে চলে যান।

এটা ভিডিও করা বা সেলফি তোলার জায়গা নয়। আপনারা যারা অযথা দাঁড়িয়ে আছেন, তারা সরে যান প্লিজ। আমাদের উদ্ধার কর্মীরা মালামাল ঘাড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছেন না।'

তবে কে শোনে কার কথা। কোনভাবেই উৎসুক জনতাকে সরানো যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, বিমান বাহিনী আর আনসার সদস্যরা মারমুখী হচ্ছেন। কিন্তু দুই-চার মিনিট পরে আবার আগের মতোই।

দায়িত্বরর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রত্যেকটা আগুনের ঘটনায় বা ক্রাইসিস মোমেন্টে উৎসুক জনতাকে সামাল দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোনকভাবেই উৎসুক জনতাকে সরিয়ে মালামাল বহনের জন্য পর্যাপ্ত রাস্তা বের করা যাচ্ছে না।

ঢাক নিউ সুপার মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের মাঝ দিয়ে বিশ্বাস বিল্ডার্সের দিকে মার্কেটের পেছনের অংশে যাওয়ার রাস্তায় এই সমস্যা প্রকট। মালামাল উদ্ধার করে সেই সড়কের দুই-পাশেই রাখছেন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা। অগ্নি নির্বাপণের জন্য দেয়া পানিতে এই সড়কের অর্ধেক ডুবে গেছে। তারপর আছে উৎসুক জনতার ভিড়। সব মিলিয়ে উদ্ধার করা মালামাল দ্রুত নিরাপদ স্থানে পৌছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা।

হাসনাত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা কাজ করি আর অনেকেই আইছে তামশা দেখতে। তাগো জন্য রাস্তায় চলাই যাইতেছে না। আমরা মালামাল টানমু কেমনে।