পুলিশের ভয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন খুলনার গুলিবিদ্ধ সেই বিএনপি কর্মী

পুলিশের ভয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন খুলনার গুলিবিদ্ধ সেই বিএনপি কর্মী

গত ১৯শে মে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ বিএনপি কর্মী আলী হোসেন হাসপাতাল ছেড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে তাকে খুঁজতে যায়। পুলিশ দেখে ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। সংঘর্ষের সময় আলী হোসেনের পিঠে ৫৯টি সীসা বুলেটবিদ্ধ হয়েছিল। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, ১৯ মে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে মহানগর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। পুলিশের ভয়ে তারা চিকিৎসা নিতে পারছে না।

মহানগর বিএনপির দপ্তর দায়িত্বে থাকা সদস্য শরিফুল ইসলাম টিপু জানান, ওই দিন মহানগর বিএনপির ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী আলী হোসেনের পিঠে গুলি লাগে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী আল সায়েদিন সৈকতের মাথায় গুলি লাগে।

এছাড়া নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবির, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপন, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ডে চুন্নু শেখের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তিনি জানান, সবাইকে প্রথম দিন হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে অন্যরা বাড়ি চলে যান। শুধু আলী হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ১১/১২ ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়।

হাসপাতালে আলী হোসেনের চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছিলেন ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, সকালে পুলিশ ও ডিবির পৃথক টিম হাসপাতালে আলী হোসেনকে খুঁজতে যায়। এতে ভয় পেয়ে সে পালিয়ে গেছে। ১৯শে মে সংঘর্ষে আলী হোসেনের মোবাইল ফোনও ভেঙ্গে গেছে। এজন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সারা পিঠে গুলি লাগায় নানা শারীরিক সমস্যায় রয়েছে আলী হোসেন। তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।