ফরমায়েশি রায়ে তারেক রহমানের ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানের ৩ বছর কারাদণ্ড

ফরমায়েশি রায়ে তারেক রহমানের ৯ বছর ও জুবাইদা রহমানের ৩ বছর কারাদণ্ড

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে একটি সাজানো মামলায় প্রধান বিরোধীদল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথিত অভিযোগে বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। 

সরকারের এই ফরমায়েশি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার বিরোধীতা করেছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। পক্ষপাতমূলক এ রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা, পঞ্চগড়, কক্সবাজার, যশোর, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এই রায় প্রত্যাখান করেছে এবং অবিলম্বে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। 
এ মামলার রায়ের প্রতিবাদে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেছে আইনজীবিরা।

বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের দাবি, এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততম সময়ে। রাতের অন্ধকারে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এমনকি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন তাদের আইনজীবীরা যাতে এজলাসে থাকতে না পারে পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে। আজ আদালত ফরমায়েশি রায় দিয়েছে। 

এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের সভাপতি ও তারেক-জুবাইদার পক্ষে আইনি লড়াই করতে আবেদন জমা দেয়া আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষী ছিল। মাত্র ১৬ কার্য দিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। যা আদালত অঙ্গনে নজিরবিহীন।

দ্রুত এই মামলা শেষ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার আইনগত অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই মামলায় আমাদের আইনজীবীদের পিপি’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে বের করে দিয়েছে। আজ আবার আদালত ফরমায়েশি রায় দিলেন।

২০০৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথিত অভিযোগে তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৩ই এপ্রিল তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।