ঢাকা, নয়া দিল্লির আকাশে বিষাক্ত ধোয়ার পুরু স্তর

ঢাকা, নয়া দিল্লির আকাশে বিষাক্ত ধোয়ার পুরু স্তর

ঢাকা ও নয়া দিল্লির আকাশে বিষাক্ত ধোয়ার পুরু স্তর তৈরি হয়েছে। বুধবার ঢাকায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘হ্যাজারডাস’ ক্যাটেগরিতে নেমে যায়। একই অবস্থা প্রতিবেশী ভারতে রাজধানী নয়া দিল্লিতেও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়া ওয়ান। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের অন্যতম। এখানে বসবাস করেন কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এখানে বিশাল সব বড় বড় প্রজেক্ট গড়ে উঠছে। সঙ্গে অতিমাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি। এতে ঢাকার বাতাসের গুণগত মানের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন রফিক মন্ডল।

তিনি বলেন, যখন রাস্তায় রিক্সা চালাই তখন অ্যাজমা, জ্বর ও এলার্জির সমস্যায় ভুগি। এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সুইজ্যারল্যান্ডের আইকিউএয়ার বলেছে, ড্রোনে ক্যামেরা বসিয়ে দেখা গেছে সকাল ৯টায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর শীর্ষে অবস্থান করছিল ঢাকা। এখানে ‘হ্যাজারডাস’ সূচকের মাত্রা ছিল ৩২৫। কিন্তু পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি ঘটে স্থানীয় সময় দুপুর একটা ৩৫ মিনিটের দিকে। সূচকের মান এ সময় কমে দাঁড়ায় ১৭৭। এটা ‘আনহেলদি’ লেভেলের।

ধুলোবালিকে দমিয়ে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ রাস্তায় পানি ছিটায়। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। জনগণ আরও বড় কোনো উদ্যোগ আশা করেন। তাদের একজন ওয়াসিম আকতার। তিনি বলেন, বায়ু দূষণের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্পের কারণে সব জায়গা প্রচুর নির্মাণকাজ চলছে। এটা পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে।

এ বছরে সিডনিকে নয়া দিল্লির অবস্থার কাছাকাছি নিয়ে গেছে। এ সময়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য প্রতিবেশীরা যেভাবে বাতাস পরিষ্কার করছে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে। কঠিন ধাতুর কণা, তরলের কণা, গ্যাস সহ বিভিন্ন জিনিস বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করে। প্রতি বছর দেশে যে পরিমাণ মানুষ অপরিণত বয়সে মারা যায়, এতে মারা যায় তার প্রায় এক পঞ্চমাংশ। প্রতিবেশী ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতেও বায়ু দূষণ উচ্চ পর্যায়ের। সেখানে সূচক ৩৭৮। এ তথ্য সেন্ট্রাল পল্যুশন কন্ট্রোল বোর্ডের। এই মাত্রা বলে যে বাতাসের গুণগত মান ‘ভেরি প্যুওর’। এ কারণে সেখানে দৃষ্টিসীমা নেমে যাওয়ায় কমপক্ষে ১০০ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়। তাপমাত্রা নেমে যায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।