দেশ ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ

দেশ ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ

সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল। দেশ ছাড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মুরাদ হাসান। দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, মুরাদ দেশে থাকবেন না বিদেশে যাবেন এটি তার ব্যাপার। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের পর গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত ডা. মুরাদের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি।

রাত পৌনে নয়টার দিকে মুরাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন বলে জানান সেখানে দায়িত্বরত একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ডা. মুরাদ কানাডার উদ্দ্যেশে ঢাকা ছাড়েন।

ওই কর্মকর্তা জানান, দুবাই হয়ে ফ্লাইটটি কানাডা যাবে।

ওদিকে তথ্য ও সমপ্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৯৪টি ভিডিও লিংক সরিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাঠানো মুরাদ হাসানের ২৬৮টি লিংকের মধ্যে ১৭৪টি এখনো সরানো বাকি আছে। বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ এই তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সঙ্গে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এক মতবিনিময়ে নাসিম পারভেজ এ কথা বলেন। রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি’র কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আলোচনায়-সমালোচনার মুখে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করে সমালোচিত হন তিনি। এরই মধ্যে চিত্রনায়িক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুরাদ হাসানের অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে জামালপুর-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুরাদ হাসান। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন। ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।