ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্ট শুনানি শুরু: যুক্তরাষ্ট্রের নজর ক্যাপিটল হিলে

ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্ট শুনানি শুরু: যুক্তরাষ্ট্রের নজর ক্যাপিটল হিলে ফটোক্রেডিট: এএফপি

ওয়াশিংটন থেকে মুশফিকুল ফজল আনসারী

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রকাশ্য ইম্পিচমেন্ট শুনানি শুরু হয়েছে। দেশটির জনগণের এ মুহূর্তের দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে। কী ঘটতে যাচ্ছে সেদিকেই নজর সবার।

ইম্পিচমেন্টকে কেন্দ্র করে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০.০৮ টায় ক্যাপিটল হিলে প্রকাশ্য শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম শিফ। সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন তিনি এবং সাক্ষীদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন। এরি ধারাবাহিকতায় তিনি সাক্ষীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটির সামনে এই সাক্ষ্য প্রদানে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম টেলর জুনিয়র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জর্জ কেন্ট।

সাক্ষ্য প্রদানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের সাক্ষ্য শুরুর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

শুনানিতে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান আইনজীবীরা সাক্ষীদের যে সাক্ষ্য নিবেন তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুনানিতে উভয়পক্ষের জেরা অব্যাহত ছিলো।

শুনানি কক্ষের প্রথম দুই সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন কংগ্রেসের ২০ সদস্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-টম মেলিনিয়োস্কি, কেলি আর্মস্ট্রং এবং ডিন ফিলিপস।

অন্যদিকে গোয়েন্দা কমিটির এ শুনানিটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে আয়োজন করার আহবান জানান রিপাবলিকানরা। তারা অনুরোধ জানান যে যারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন তাদেরকে যেনো গোপনে সাক্ষ্য নেয়া হয়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন। জো বাইডেনের ছেলে ইউক্রেনের গ্যাস কোম্পানি বুরিসমায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।

মূলত এ অভিযোগেই ইম্পিচমেন্ট তদন্ত শুরু করেছে কংগ্রেস কমিটি। গত ৩১ অক্টোবর কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ার পর সোমবার সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষ্যের প্রথম পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি।

প্রেসিডেন্ট পদের রাজনৈতিক অপব্যবহার আর নিরাপত্তা সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনোস্কিকে বিরোধীপক্ষ দমনে নিজের সুবিধামত বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেছেন ডেমোক্রেটরা। গত সেপ্টেম্বরে সিআইএ’র সাবেক এক কর্মকর্তা ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস করে দেন। এতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।তবে ট্রাম্প জানান, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। এরপরে এই অভিশংসনের তদন্তের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, এক বছরও সময় হাতে নেই। আর এ সময়টাতেই অনেকটা স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে গেছেন দেশটির নীতিনির্ধাকরা।

জিএস/