কাশ্মীরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানা বানানো হয়েছে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

কাশ্মীরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানা বানানো হয়েছে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

জাতির মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে দেয়ার প্রচারণাকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্যোগ কখনোই সফল হবে না। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে

শনিবার কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (পিএমএ) আজাদি প্যারেডে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তিতে সবাইকে অভিনন্দন জানাই। ১৪ই আগস্টকে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি গর্বের সঙ্গে উদযাপন করে।

তিনি আরও বলেন, দেশ আকর্ষণীয় একটি সময় অতিবাহিত করছে। আছে জলাবদ্ধতা, চ্যালেঞ্জ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার লড়াই, আধিপত্যবাদ ও চরম মাত্রায় দেশপ্রেম।

জেনারেল মুনির বলেন, শত্রুপক্ষের অপচেষ্টা, অস্থিতিশীলতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী শক্তিকে প্রতিহত করে চলেছে দেশ। এসব শক্তি পাকিস্তানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে কখনো দ্বিধা করবে না সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয় উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদান রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। কাশ্মীরিদের উদ্দেশে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান বলেন, নৃশংস দখলদারি শক্তির কব্জা থেকে ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীর স্বাধীনতা পাবে। তিনি কাশ্মীরিদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৭৬ বছর আগে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যোগাযোগে বন্ধ করে দেয়া, বেয়োনেটের নগ্ন ব্যবহার এবং ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানা বানিয়ে ফেলা সত্ত্বেও কাশ্মীরিদের আত্মমর্যাদাকে কোনো দুষ্টচক্রই দমিয়ে রাখতে পারবে না। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এটা অনুধাবন করার আহ্বান জানান যে, কাশ্মীরে ভারতীয়রা যে অতিরিক্ত সব করছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে না। ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার যে অধিকার তাকে অস্বীকার করা হচ্ছে।