করোনার কারণে প্রায় স্থবির পুরো বিশ্বের অর্থনীতি। তালিকার বাইরে নেই বাংলাদেশও। এক মাসের লকডাউনে এরই মধ্যে চাপে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। এ অবস্থায় সরকারের নেয়া উদ্যোগে সুশাসন নিশ্চিত না হলে ঝুঁকিতে পড়বে করোনা পরবর্তী অর্থনীতি।
ফখরুল ইসলাম। প্রায় ৩০ বছর ধরে রিকশা চালান রাজধানীতে। ২০ বছর আগে এক পা হারানোয়, আরেক পায়ের উপর ভর দিয়েই চলে তার ৬ সদস্যের সংসার। করোনায় কাজ না থাকায় জীবন চালানোর প্রাণান্ত চেষ্টা তার।
দেশে তার মতো দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখন প্রায় ৪ কোটি। সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে পিপিআরসি ও বিআইজিডি জানায়, করোনা মহামারীতে দিন আনে দিন খায় এমন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের আয় বন্ধ হয়েছে। পরিবারের ব্যয়ভার বহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকেও।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গেল এক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ এগিয়েছে দেশ। তবে, বেড়েছে আয় বৈষম্য, গড়ে ওঠেনি উপযুক্ত মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ। তাই করোনার ধাক্কায় কিছুটা বেসামাল হতে পারে অর্থনীতি।
সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ২০১৯ সালে যেখানে সরকারি হিসেবে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০.৫ ভাগ, এই মুহূর্তে দারিদ্র্যের হার বেড়ে প্রায় ৪১ ভাগ হবে।
অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার সুযোগ দেয়া, ট্রেনিং দেয়া এই বিষয়গুলো যদি করা হয় তাহলে সুযোগের সুব্যবহার করা যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় সরকারের নেয়া বিশেষ উদ্যোগগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে, অনেকটাই সহজ হবে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা।
এমজে/