মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে

মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই কম-বেশী সরকারী বা বেসরকারি চিকিৎসাসেবার দ্বারস্থ হয়েছি। এর অভিজ্ঞতাও যে খুব সুখকর নয়, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। কিন্তু সময় এসেছে নিজের চিকিৎসা অধিকার তথা বাঁচার অধিকার নিয়ে স্বকন্ঠ দাবি জানানোর।

ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তিকালীন আমার মায়ের চিকিৎসায় চরম অবহেলা, অনৈতিক এবং অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো পর্যবেক্ষন তুলে ধরেছি। বিচারের দ্বারস্থ হয়েছি। আর এই বিচারকে সমর্থন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছি। যেহেতু বিষয়টি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জবাবদিহিতা বিষয়ক আইনের সঙ্গে জড়িত, তাই বর্তমান সংসদ নেত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন অনিবার্য।

এই ধরণের অমানবিকতার শিকার ইতিপূর্বে অনেকেই হয়েছেন। আমাদের পরিবার সেই ভুক্তভোগীর সারিতে সর্বশেষ অভাগা সংযোজন। আমরা আপনাদের সকলের কষ্ট হাড়ে হাড়ে অনুভব করছি। তাই আসুন, আজ শুধু আক্ষেপ নয়, সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার মিলে রক্ষা করি ভবিষ্যতের অভাগাদের। গড়ে তুলি সামাজিক প্রতিরোধ ও জনমত। আর সেই জনমতের উপরে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র বাধ্য করবে, এই ধরণের নিষ্ঠুর বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সকল রোগীদের অধিকার নিশ্চিত করতে।

আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছি, মোটা অংকের টাকা গচ্চা দিয়েছি, দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি, এমনকি ওদের খামখেয়ালির জন্য বাবা-মা সহ ঘনিষ্ঠ স্বজনদের হারিয়েছি। অনেক কষ্ট মনের গভীরে জমাট বেঁধে আছে যা জীবন সায়াহ্নে এসেও ভোলা যাবে না। তাই আসুন শোককে শক্তিতে পরিণত করি। সকলের না বলা কষ্টের কথা এই ফেইসবুক ফোরামে লিখে শেয়ার করি। জাতি জানুক আমাদের উপর উপর চেপে বসা ইউনাইটেড হাসপাতাল সহ ব্যবসা-সর্বস্য বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটুকু ঘৃণ্য। আপনাদের শেয়ারকৃত একেকটি লেখা হবে ঐসব অসাদু স্বাস্থ্য ব্যবসাদের আইনের আওতায় আনার হাতিয়ার। ওদের অপশক্তি আমাদের সম্মলিত শক্তির কাছে কিছুই না । মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা পাওয়া অনুগ্রহ নয় – অধিকার।

লেখক: বিশ্ব ব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মকর্তা।