জোনায়েদ সাকির উপর ছাত্রলীগের হামলা

জোনায়েদ সাকির উপর ছাত্রলীগের হামলা

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী। এতে তিনিসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জোনায়েদ সাকির মুখ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। হামলার পর হাসপাতালেই তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর আগে জরুরি বিভাগের গেটে জোনায়েদ সাকি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন।

হামলার শিকার সাকিসহ অন্যান্যদের নগরের একটি বেসরকারি একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা তারা। জোনায়েদ সাকি গণমাধ্যকে বলেন, সকালে কয়েকজন নেতাকর্মী মিলে আমরা সীতাকুণ্ডে গিয়েছিলাম। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দেখেছি। এরপর আমরা গাড়িতে উঠতে যাবো এমন সময় হামলা শিকার হই। তারা ইট দিয়ে হামলা করেছে।

নেতাকর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা করেছে তারা। হামলার সময় দুইজন পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে রক্ষা করেছে। অন্যদের তেমন ভূমিকা ছিলো না।

জানা যায়, এ সময় জোনায়েদ সাকির সঙ্গে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুব অধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম সৌরভ, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতা হাসান মারুফ রুমি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ জামান জনি ও ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ উদ্দীন।