জিল্লুর রহমানের বাড়িতে পুলিশ, ২২ নাগরিকের উদ্বেগ

জিল্লুর রহমানের বাড়িতে পুলিশ, ২২ নাগরিকের উদ্বেগ

টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের পৈতৃক বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তথ্য সংগ্রহের নামে ‘ভয় দেখানোর’ যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২২ জন নাগরিক। 

আজ রোববার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জিল্লুর রহমান ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভয় দেখানোর যে অভিযোগ তুলেছেন, সে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে। এ অবস্থায় জিল্লুর রহমানের করা ওই অভিযোগ জনমনে একধরনের ভীতি ও শঙ্কার সৃষ্টি করে। বিজয়ের মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিকের করা এমন অভিযোগ জনমনে এই আশঙ্কারও উদ্রেক করে যে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে কি না, যা সার্বিকভাবে নাগরিক অংশগ্রহণমূলক ও অধিকারভিত্তিক বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

২২ ডিসেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে জিল্লুর রহমান বলেছেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছে। তিনি ঢাকায় থাকেন, তাঁর একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তাঁর কাছে যেতে পারতেন বা তাঁকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তাঁরা তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছেন। তাঁকে, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, মানবাধিকার কর্মী ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নুর খান লিটন, লেখক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, পরিবেশ ও জলবায়ু নীতি বিশ্লেষক এম জাকির হোসেন খান, অধ্যাপক কামরুন্নেসা খন্দকার, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মা‌‌হবুব মোর্শেদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক, প্রকৌশলী ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ এর সম্পাদক ড. মুনির উদ্দিন আহমেদ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ'র বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার, নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণের (নাবিক) আহ্বায়ক ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, আইনজীবী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার জিশান মহসিন, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ এবং লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ।