প্রান্তিক কৃষকের প্রণোদনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার স্বজনদের পকেটে

প্রান্তিক কৃষকের প্রণোদনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার স্বজনদের পকেটে

পাবনায় বরাদ্দ দেয়া কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ পাননি তালিকাভুক্ত কৃষকেরা। অনেকে জানেন না সরকারি প্রণোদনার খবরও। তবে নীতিমালা মেনেই দেয়ার দাবি, কৃষি বিভাগের। কৃষকদের অভিযোগ, অনিয়মে জড়িত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তার স্বজনরা।

এই যেমন, সুজানগর উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের কৃষক তৈয়ব আলী। প্রণোদনার সার-বীজ দেবার কথা বলে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নেনে জনপ্রতিনিধি। তালিকায় নাম থাকলেও পাননি কিছুই। পরে বাধ্য হয়ে, বেশি দামে বাইরে থেকে কিনে আবাদ শুরু করেন তিনি।

শুধু তৈয়ব আলী-ই নয়। তার মতো দশটি ইউনিয়নের অনেক কৃষকই এরকম ভুক্তভোগী। তালিকায় নাম থাকলেও পাননি সরকারি প্রণোদনা। তারা জানেই না সার-বীজ বিতরণের খবর। অভিযোগ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার-সচিব ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খান। তিনি জানান, তালিকায় তার মোবাইল নম্বর কীভাবে এসেছে জানা নেই। দায় চাপালেন কৃষি বিভাগের ওপর।

এদিকে, কৃষি বিভাগের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলামের দাবি, নীতিমালা মেনেই দেয়া হয়েছে প্রণোদনার সার-বীজ। অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।

সুজানগর উপজেলায়, চার হাজার ৬২৫ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হয় ৩০ হাজার ২৫০ কেজি বীজ এবং ৯০ হাজার ৭৫০ কেজি সার।