দেশের রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে বিএনপির অবদান না থাকায় দলটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিএনপির কোনো অবদান নেই। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। সে কারণে বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীলনকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল; তাদের খুনি চরিত্র বারবার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্টের মতো নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল; বিরোধীদলে থেকেও তারা খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ; ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতপ্রকাশের মুক্ত-বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টকশো এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষেদগার করে চলেছে।
