মৃত ব্যক্তিকে গোসলের সময় গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪

মৃত ব্যক্তিকে গোসলের সময় গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মৃত ব্যক্তিকে গোসলের জন্য সুগন্ধি আগরবাতি জ্বালাতে গিয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও তা থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে তারাবো পৌরসভার বিশ্বরোড খালপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মো. জুম্মুন (৩০), মো. কবির হোসেন (৪০), মো. সেমীন (২২), মো. মিরাজ (২০)। তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে তারাবো পৌরসভার বিশ্বরোডের খালপাড় এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াজউদ্দিন (৭০) বার্ধক‍্যজনিত কারণে মারা যান। তিনি সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় একটি ঘর করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার ঘরের পাশ দিয়ে তিতাস গ‍্যাসের সঞ্চালন লাইনের সংযোগ ছিল। রাতে মরদেহের গোসল করানোর সময় দিয়াশলাই জ্বালালে গ‍্যাস লাইনের লিকেজে তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়দের দাবি, ওই পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। মুহূর্তেই লিকেজ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে চারজন দগ্ধ হন। এতে আশপাশের মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শেখ হাসিনা বার্নে ভর্তি দগ্ধ মিরাজ জানান, মরদেহের গোসল সম্পন্ন করতে তারা মশারির ভেতরে সুগন্ধি আগরবাতি জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। দিয়াশলাই জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রূপগঞ্জের তারাবো এলাকা থেকে চারজন দগ্ধ হয়ে বার্নে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে জুম্মুনের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। কবির হোসেনের ৫ শতাংশ, সেমীনের ৫ শতাংশ এবং মিরাজের শরীরের ৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।