গ্যাটকো মামলার চার্জ গঠনের শুনানিতে হাজির করা বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালতে তাকে বসানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন- ‘আমি তো কিছুই দেখছি না। আমি তো আপনাকেও (বিচারক) দেখছি না। এই দেয়াল তো এর আগে ছিল না, এখন কোথা থেকে এলো। আমি এখানে থাকব না, আমি এখান থেকে চলে যাব।’
বৃহস্পতিবার আদালতে প্রবেশ করার পর বিচারককে উদ্দেশ করে বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। আদালতে যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বসানো হয়, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
এর পর বিচারক বলেন, বসার জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর পর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে এজলাসের বামপাশে পেশকারের পেছনে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বেগম খালেদা জিয়াকে বসানো হয়। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারককে উদ্দেশ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমাকে কাঠগড়ায় ঢোকাতে চাচ্ছেন? এতেও আমি রাজি আছি। এ সময় বারবারই বেগম খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়- আমি এখান থেকে কিছুই দেখতে পারছি না।
এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিচারককে বলেন, কেন তাকে (খালেদা জিয়া) পৃথক করছেন? আপনি সিদ্ধান্ত দিয়ে তাকে সামনে নিয়ে আসেন। তাকে পৃথক রাখার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালত তো এভাবেই নির্মিত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ওই জায়গায় বসানো হয়েছে।
এ সময় বিচারক বলেন, আমি তো আজ নতুন। বিষয়টি আমি দেখব। আজ এখানেই থাকুক।
দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ বেগম খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়।
গ্যাটকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার।
এর আগেও আদালতের স্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সাজা দিতে চাইলে দিয়ে দেন। আমি আর এ আদালতে আসব না। তিনি আরো বলেন, এ আদালতে আমার আইনজীবীরা বসতে পারেন না। অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
একে/
