ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির প্রত্যক্ষ মদদেই ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, রাজধানীর সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে মেয়েদের যৌন হয়রানির ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আখতারুজ্জামানের কার্যালয় ঘেরাও করে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরে ভিসিকে সহায়তায় এগিয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ভিসিকে উদ্ধারে আসা ছাত্রলীগের সঙ্গে এক দফায় বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি হয়। পরে রড নিয়ে এসে পিটুনি দেয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে সরকারের পেটোয়া বাহিনী মেয়েদের কাপড় ছিড়ে দিতে পারে। আর এই ঘটনা ঘটেছে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গণের একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন এখন ডাকাতদের গ্রাম। কারণ সরকার ছাত্রলীগকে ডাকাতে পরিণত করে বিশ্ববিদ্যালয়কেও ডাকাতে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে এমন কোনো যন্ত্র নেই, যা সরকার ব্যবহার করেননি। সুতরাং যতই নিপীড়ন ও নির্যাতন বাড়বে ততই সরকারের পতনের ঘন্টা বাজবে। তবে এটা নিশ্চিত, শেখ হাসিনার পতন ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মুত্যু দিনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই দিন বর্তমান সরকার সঠিক আচরণ করেননি। বরং নির্মম আচরণ করেছেন। ঠিক ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সরকার কত নির্মম হতে পারে!
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনরি হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৪৪৫ঘ.)