মিছিলে পুলিশি বাধা

সরকার ভিন্ন মোড়কে একদলীয় শাসন চায়: বিএনপি

সরকার ভিন্ন মোড়কে একদলীয় শাসন চায়: বিএনপি

সরকারই বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে তারা (সরকার) আইনের কথা বলে। এই আইনের মধ্যেই বলা আছে— ইচ্ছা করলে সরকার তাকে যেতে দিতে পারে। বাধা আইন নয়, বাধা হচ্ছে সরকার। এই অবৈধ সরকার দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।’

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সরকার ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, মৌলিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করছে। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতাগুলো অর্জিত হয়েছিল, সেই মুক্ত সমাজ, কথা বলার স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, সেগুলো এই আওয়ামী লীগ সরকার লুট করে নিয়েছে। ভিন্ন মোড়কে তারা এখানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে হবে।

‘১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতাগুলো অর্জিত হয়েছিল, সেই মুক্ত সমাজ, কথা বলার স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, সেগুলো আওয়ামী লীগ লুট করে নিয়েছে’-যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার ভিন্ন মোড়কে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়— এমন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, হরণ করা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জীবনবাজি রেখে লড়াই করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশের শুরুতে মহিলা দলের আয়োজনে মৌন মিছিল করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আটকে দেয়। সমাবেশ শেষেও তারা মিছিল করার চেষ্টা করেন। তাও আটকে দেয় পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মৌন মিছিলকেও সরকার ভয় পায়।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।