রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে বিএনপি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে বিএনপি

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। সোমবার দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিষয়ে আলোচনা হয়। সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম দিন সংলাপে অংশ নেয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি।

১২ জানুয়ারি থেকে ফের সমাবেশ

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৩২টি জেলায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবশিষ্ট জেলাগুলোতে আগামী ১২ই জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য দলের মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচিগুলোতে সরকারদলীয় লোকদের দ্বারা দফায় দফায় আক্রমণ, বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ, নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তি দাবি করা হয়।

এছাড়া সভায় সম্প্রতি টঙ্গী ও চট্টগ্রামে র‌্যাবের নির্যাতনে দুইজনের মৃত্যুর যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।