বিনা ভোটের সরকার মানুষকে ভাতে মারতে চলেছে: সিপিবি

বিনা ভোটের সরকার মানুষকে ভাতে মারতে চলেছে: সিপিবি

বিনা ভোটের সরকার দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নবনির্বাচিত সভাপতি মো. শাহ আলম।

স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু, পর্যাপ্ত ন্যায্য মূল্যের দোকান, টিসিবির বিক্রি বাড়ানো ও কঠোর হাতে সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে আজ শনিবার বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালেস এলাকায় সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিন্ডিকেটের দখলে। পার্লামেন্ট ও সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে।

সিন্ডিকেট ও লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের নাগালের বাইরে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে।

সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই উল্লেখ করে সিপিবির এই নেতা বলেন, করোনার আঘাতে মানুষ যখন বিপর্যস্ত, তখন ‘দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া’র ধাক্কায় মানুষের দৈনন্দিন জীবন চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুতদারদের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে।

সিপিবির চট্টগ্রামের সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মছি উদ্‌ দৌলা, কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি জহির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের মধ্যে বর্তমানে সর্বত্রই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবন আজ সংকটে। আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ায় মানুষ জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে। তা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের দর্শন থেকে পুরোপুরি সরে গিয়ে বর্তমান সরকার এখন মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে, যা এ দেশে মোটেই কাম্য নয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়াতে হবে এবং স্থায়ী রেশনিং ও গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়।