বিএনপির সাবেক জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আওয়ামী লীগ কী বলল তা দেখার বিষয় নয়, বরং আওয়ামী লীগ কী হরণ করেছে সেটি আদায় করার আন্দোলন চলছে। আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বুধবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামুর সভাপতি অবস্থানে অংশ নেন বিএনরপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ও এমপি আসাদুল হাবিব দুলুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া গণঅবস্থান কর্মসূচি গ্র্যান্ড হোটেল মোড় পেরিয়ে উত্তরে সালেক মার্কেট এবং দক্ষিণে শাপলা চত্বর পর্যন্ত চলে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় মূল সড়কের এক পাশ। বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসতে থাকেন গণঅবস্থানে।
নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপি'র ১০ দফার সাথে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা দাবি গণ দাবিতে পরিণত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হারিয়ে যাওয়া অধিকার এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। এসময় বক্তারা বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়া, বাস থেকে নামিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের ওপর তৈরি করা দুটি মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে শাপলা চত্বর এবং দাবানল মোড় পর্যন্ত শত শত নেতাকর্মীরা সড়কে বিছানো কার্পেটে বসে অবস্থান নেন।
এদিকে গণঅবস্থান কর্মসূচির কারণে শাপলা চত্বর থেকে জাহাজ কোম্পানি মোড় পর্যন্ত সড়কের এক পাশের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
গণঅবস্থানে অংশ নিয়ে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া গণঅবস্থান কর্মসূচির ফাঁকে ফাঁকে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই গণঅবস্থান বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো ধরণের নাশকতা, সহিংসতা ও অরাজকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বর, বেতপট্টিস্থ মোড়, কাচারি বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে।
এছাড়া গণঅবস্থানকে ঘিরে সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
