দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায় আওয়ামী লীগ: ১২ দলীয় জোট

দেশে রক্তঝরা সংঘাত চায় আওয়ামী লীগ: ১২ দলীয় জোট

মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তের নাম 'স্বাধীনতা' আর চলমান আন্দোলনের রক্তের নাম 'গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার' তাই এই আন্দোলনেও স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণ তাদের বিজয় লাভ করবে এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন শেখ হাসিনা নামক স্বৈরশাসক সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আরেকটি রক্তঝড়া সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের শান্তি চায় না মুলত দেশে রক্তঝড়া সংঘাত চায়।

শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এবার চূড়ান্ত নব্য-স্বৈরশাসকের রূপ ধারণ করেছে। তাদের সর্বশক্তি দিয়ে হটাতে হবে। অন্যথায় দেশ- জাতি নিরাপদ থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ সরকার পদত্যাগ বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এছাড়া সরকারের বাঁচার কোন রাস্তা নেই।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নাই, তবে শীঘ্রই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দিবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান আওয়ামী মাফিয়া সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন আন্তর্জাতিক ভাবে ভোট চোরের স্বীকৃতি পেয়েছেন। এবার 'নাকে খত' দিয়ে পদত্যাগ করুন। মনে রাখবেন আমাদের স্বাধীনতার শিকড় ধরে টান দিবেন না।

তিনি বলেন, গুম- খুনসহ গত পনের বছরে বিরোধীদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে এবার ভোট বর্জন করেছে। তবে কথাবার্তা পরিষ্কার! আওয়ামী লীগের রাজনীতি কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ বাবলু, গাজী ফারুক, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মুফতী আবু সাঈদ, মাওলানা খাইরুল ইসলাম, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মোঃ সাজু মিয়া, ইসলামী ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোঃ আসাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, এরশাদুর রহমান, লায়ন উমার রাযী, শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু , ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান,ছাত্র জমিয়তের, নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ মাহমুদ, ছাত্র মিশনের মোসতাকিম বিল্লাহ প্রমূখ।