থাইল্যান্ডের গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান

থাইল্যান্ডের গুহায় যেভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান

ঢাকা, ৮ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : উত্তর থাইল্যান্ডের একটি গুহার ভেতর আটকে পড়া কিশোর ফুটবল দলের চার জনকে উদ্ধার করে বাইরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ভারী বৃষ্টির পর গুহার ভেতর পানির উচ্চতা আরো বেড়ে যেতে পারে এমন আশংকায় রবিবারই এই উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দক্ষ ডুবুরিরা আটকে পড়া কিশোরদের ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের পানির ভেতর দিয়ে পথ দেখিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে নিয়ে আসেন।

তাদেরকে গ্রুপে গ্রুপে উদ্ধার করা হচ্ছে। এই উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা পরিস্কার নয়।

তবে কর্মকর্তারা আগে যা ধারণা করেছিলেন তার চেয়ে অনেক দ্রুত আগাচ্ছে উদ্ধার অভিযান। ৪ জন কিশোরকে এ পর্যন্ত বাইরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

বিবিসির ড্যান জনসন থাইল্যান্ডের ঘটনাস্থল থেকে জানাচ্ছেন, ডাক্তার পাঠিয়ে আটকে পড়া কিশোরদের অবস্থা উদ্ধার অভিযান শুরুর আগে পরীক্ষা করে দেখা হয়। সবচেয়ে দুর্বল শারীরিক অবস্থা যাদের, তাদের আগে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়।

গুহার ভেতর যা ঘটছে
যে গুহার ভেতর এই অভিযান চলছে, সেই গুহামুখ ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যম এবং উদ্ধার কর্মীদের বিরাট জটলা তৈরি হয়েছে।

রবিবার সকালে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। তখনই জল্পনা শুরু হয় যে হয়তো শীঘ্রই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

এরপর উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান নারোংসাক ওসেতানাকর্ন ঘোষণা করেন যে কিশোরদের উদ্ধারের জন্য ১৮ জন ডুবুরিকে ভেতরে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানিয়েছিলেন, ডাক্তাররা পরীক্ষা করে সব ছেলেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে এই অভিযানের জন্য প্রস্তুত বলে মত দিয়েছেন। আটকে পড়া ছেলেদের পরিবারের তরফ থেকেও সম্মতি পাওয়া গেছে।

যেভাবে এদের বাইরে আনা হচ্ছে
গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় ১১টা ঘন্টা সময় লাগছে।

এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। আর অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে।

প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।

সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে।

এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সূত্র: বিবিসি

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২২০৮ঘ.)