একতরফা নির্বাচন বন্ধের আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের

‘দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে সরকার’

‘দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে সরকার’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন। এ ছাড়া সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। না হলে দেশ ভয়াবহ রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক সংকটসহ বিদেশিদের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে হুঁশিয়ারি দেন দলটির নেতারা।

রবিবার সকালে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ, অবৈধ সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে ইসলামী আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দিকে রওনা হন। মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ গতি রোধ করে। এ সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি শান্ত হলে দলের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সমাবেশে সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকার দীর্ঘ ১৫ বছরে নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি পাস কাটিয়ে একতরফা নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক ও মুরব্বি হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন বন্ধসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই দেখে সরকার জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করছে।

সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।